শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

অবহেলা (৬ষ্ঠ পর্ব)






অবহেলা (৬ষ্ঠ পর্ব)
--------------------------------------------------------------------------------

অভ্র বসে আছে লেকের পাড়ে। হাতে কবিতার ডায়েরী। তবে আজকে কি নিয়ে লিখবে খুঁজে পাচ্ছে না। আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে সে। পাখিদের উড়ে যাওয়া দেখছে। এখনো সন্ধ্যা হয় নি, তবে তারা নীড়ে ফিরে যাওয়া শুরু করেছে।
আসলে প্রকৃতির মাঝে বৈচিত্রময়তা আছে বলেই পৃথিবী আমাদের কাছে এতো সুন্দর মনে হয়।

হঠাৎ, পেছন থেকে মিলির গলা শোনা গেলো।
মিলিঃ “কি কবি সাহেব কি করছেন।”
অভ্রঃ “কিছু না, বসো।”
মিলিঃ “তা কি লিখলে দেখি।”
অভ্রঃ “কিছুই না।”
মিলিঃ “কেনো? লিখার কোন বিষয় খুঁজে পাচ্ছো না বুঝি?”
অভ্রঃ “হুম।”
মিলিঃ “কেনো?”
অভ্রঃ “আসলে বুঝতে পারছি না। তাছাড়া, আজ কেনো যেনো লিখতে ইচ্ছে করছে না।”
মিলিঃ “হুম। তো কি ইচ্ছে করছে?”
অভ্রঃ “ইচ্ছে করছে এখানেই বসে থাকি। এভাবেই এখানে বসে বসে বিকেলের আকাশে ক্লান্ত পাখিদের নীড়ে ফেরা দেখি।”
মিলিঃ “তবে পাখিরাতো সন্ধ্যা ঘনালে নীড়ে ফিরে। তা হলে কিছু পাখিদের এমন অসময়ে নীড়ে ফিরতে দেখা যায় কেনো?”
অভ্রঃ “এটাই প্রকৃতির বৈচিত্রতা। এ বৈচিত্রতার কারনেই প্রকৃতির সব কিছু আমাদের কাছে ভালো লাগে।এ বৈচিত্রতা না থাকলে প্রকৃতি একঘেয়ে হয়ে যেতো।”
মিলিঃ “হুম। আচ্ছা, তুমি জোছনা পছন্দ করো?”
অভ্রঃ “হুম। আমি জোছনা রাতে বাঁশি বাজাই। জোছনা রাতই বাঁশি বাজানোর জন্য উত্তম। কারন, তখন চাঁদের আলো আর বাঁশির সুর মিলে এক অন্যরকম পরিবেশের সৃষ্টি করে।”
মিলিঃ “আচ্ছা, জোছনা রাতেই বাঁশি বাজানোর কারন কী? অন্য সময় বাজাও না কেনো?”
অভ্রঃ“মিলি তুমি হয়তো জানো যে পৃথিবীতে আমার বন্ধুর খুবই সংখ্যা কম। এ কম সংখ্যক বন্ধুদের মাঝে চাঁদ ও আমার বন্ধু। আমি চাঁদের সাথে কথা বলি। তার ভাষা হল জোছনা আর আমার ভাষা হল সুর।”

প্রতিবারের মতো এবার ও মিলি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। প্রতিবারই তার কেনো যেনো অভ্রকে নতুন বলে মনে হয়। প্রিয় মানুষদের প্রতিদিন নতুন করে আবিস্কারের মাঝে আলাদা এক আনন্দ আছে।

To be continued.........
[বিঃদ্রঃ উপন্যাসের পরের অংশটি কাল এই ব্লগে প্রকাশিত হবে।]

লেখকঃ জোহেব।

সুয়া চান পাখি গানের ইতিহাস








সুয়া চান পাখি গানের ইতিহাস

সুয়া চান পাখি! গানটা শুনলেই মনের ভিতরটা হুহু করে কেঁদে উঠে। তবে আমরা কি জানি যে এই গানটির পেছনে রয়েছে এক বেদনাময় ইতিহাস।
“সুয়া চান পাখি” এর অর্থ হল শুয়ে আছে আমার চান পাখি।
এক সময়কার বাউল গায়ক ছিলেন ওস্তাদ উকিল মুন্সি। তিনি তার স্ত্রীকে অসুস্থ অবস্থায় রেখে এক গানের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে খবর এলো যে তার স্ত্রী আর এ পৃথিবীতে নেই।
উনি যে যায়গায় অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন সে যায়গাটি ছিলো তার বাড়ি থেকে অনেক দূরে। যার ফলে ফিরতে কয়েকদিন সময় লেগে গেলো।
ততদিনে তার স্ত্রীকে কবর দেয়া হয়ে গিয়েছে। তিনি তার স্ত্রীকে শেষ বারের মতোও দেখতে পারেন নি।
তখন তিনি তার স্ত্রীর কবরের পাশে বসে গেয়েছিলেনঃ
“সুয়া চান পাখি,
আমার সুয়া চান পাখি।
আমি ডাকিতাছি,
তুমি ঘুমাইছ নাকি?

তুমি আমি জনম ভরা,
ছিলাম মাখামাখি।
আজি কেন হইলে নীরব,
মেলো দুটি আখিরে রে,
পাখি।
আমি ডাকিতাছি,
তুমি ঘুমাইছ নাকি?

বুলবুলি আর তোতা ময়না,
কত নামে ডাকি।
তোরে কত নামে ডাকি।।
শিকল কেটে চলে গেলে রে,
শিকল কেটে চলে গেলে,
কারে লইয়া থাকিরে পাখি।
আমি ডাকিতাছি,
তুমি ঘুমাইছ নাকি?

তোমার আমার এই পিরীতি,
চন্দ্র, সুর্য সাক্ষী।
হঠাৎ করে চলে গেলে,
বুঝলাম না চালাকি।
আমি ডাকিতাছি,
তুমি ঘুমাইছো নাকি।”

তখন উকিল মুন্সির গুরু বাউল কবি রশিদ উদ্দীন সে স্থানে ছিলেন। উকিল মুন্সিকে এভাবে কাঁদতে দেখে তাকে সান্তনা দেয়ার জন্য তিনি গেয়েছিলেনঃ

“বিশ্ব জোড়া এই পিরীতি,
সবই দেখছি ফাঁকি রে উকিল মুন্সি।
সবই দেখছি ফাঁকি।।
বাউল রশিদ বলে,
চলরে উকিল।
বাউল রশিদ বলে,
চলরে উকিল।
ওরে উকিল।।
ডাকলেই বা হইবো কি,
তারে ডাকলেই বা হইবো কি?
আমি ডাকিতাছি,
তুমি ঘুমাইছ নাকি?”


লেখকঃ জোহেব।

সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

আজ না হয় নিজেকে নিয়েই লিখলাম


 
 
 
আজ না হয় নিজেকে নিয়েই লিখলাম
-----------------------------------------------------

চারিদিকে সন্ধ্যা নেমে এসেছে। আলোকিত পৃথিবী ধীরে ধীরে অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে। তেমনি ভাবে দুঃখের অন্ধকার জগতে হারিয়ে যাচ্ছে একটি জীবন। যা হয় তো আর কখনো আলোর মুখ দেখবে না।

জোহেব হাঁটছে লেকের পাড়ে। বুকের বাম পাশের চিন চিনে ব্যাথাটা ধীরে ধীরে তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠছে। অতিপ্রিয় মানুষের কাছ থেকে পাওয়া কষ্ট কেউ সহ্য করতে পারে না। এ কষ্টের প্রভাব এতোই তীব্র হয় যে মানুষ তখন কাঁদতে পারে না।

হাঁটতে হাঁটতে নিজের লিখা কয়েকটি কবিতা আওড়ে যায় জোহেব। যে কবিতা গুলো এক সময় প্রিয় এক জনকে উৎসর্গ করেছিলো।
আশেপাশের মানুষগুলো তার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। কেউ কেউ দেখছে উৎসুক দৃষ্টিতে। কেউ কেউ দেখছে বিস্ময়ের দৃষ্টিতে। তারা ভাবছে যে পাগল প্রলাপ বকছে।

হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পরে গেলো সে। পা খানিকটা কেটে গিয়েছে। তবে তার কোন ব্যাথা অনুভুত হচ্ছে না। তার হৃদয়ের তীব্র ব্যাথার কাছে এ ব্যাথা কিছুই নয়।
আমাদের শরীরের কোন অংশ কেঁটে গেলে রক্তক্ষরণ হয়। যা সবাই দেখতে পায়। তবে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ কেউ দেখতে পায় না।

সে উঠে দাঁড়ালো। এরপর কিছুক্ষন লেকের পানির দিকে তাকিয়ে রইলো।
আজ তার মনে হচ্ছে, পৃথিবীতে সত্যিকারের প্রেমীকের স্থান শুধু গল্পে। যেখানে আবেগ গুলো শুধু বইয়ের পাতার মাঝেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে এর কোন অস্তিত্য নেই। ভালোবাসা নামক বস্তুটাকে আজ তার কেবল একটি কুসংস্কার বলেই মনে হয়।

লেখকঃ জোহেব।

তোমার ওই মুখের হাসি




তোমার ওই মুখের হাঁসি
কবিঃ জোহেব
--------------------------------------

তোমার ওই মুখের হাসি,
আমি দেখতে ভালোবাসি।
তোমার ওই চোখের চাওয়া,
আমার মনে দেয় যে দোলা।
জীবনের এই পথে,
চলতে চাই তোমার সাথে।
চলবে কী তুমি এ পথ,
আমারি সাথে?

কখনো যদি হারাই পথ,
খুঁজে দিয়ো তুমি আমায় পথ।
কখনো যদি হারাই আঁধারে,
তুমি খুঁজে দিয়ো আলো আমারে।
এ ভাবে জীবনের পথে,
চলতে চাই তোমার সাথে।
চলবে কী তুমি এ পথ,
আমারি সাথে?

রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৪

অবহেলা (৫ম পর্ব)

                                                           


                           অবহেলা (৫ম পর্ব)

৬ মাস পর...

এই ৬ মাসে অভ্র ও মিলি খুব ভালো বন্ধ্য হয়ে গিয়েছে। এখন বেশির বাগ সময়ই তাদের দুজনকে এক সাথে দেখা যায়। বিশেষ করে বিকেলে, যখন অভ্র লেকের পাড়ে বসে কবিতা লিখে, মিলি তখন তার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। তার কবিতা লেখা দেখে মুগ্ধ চোখে।
কখনো বা কোন বৃষ্টি দিনে অভ্রকে দেখা যায় কদম ফুল হাতে মিলির জন্য অপেক্ষা করতে। মিলির কদম ফুল খুব প্রিয়। এ ফুল খোপার দিলে তাকে অপ্সরীর মত লাগে।

মিলির মতে অভ্র এক জন অসাধারণ মানুষ। যদিও অভ্র একজন অতি সাধারণ ছেলে। অতি সাধারণরা ও অসাধারণ হয়। তারা তাদের অতি সাধারণের দিক দিয়েই অসাধারণ।

মিলি যতক্ষন অভ্রর সাথে থাকে ততক্ষণ তার মাঝে এক অন্য রকম অনুভুতি কাজ করে। এ অনুভুতিটার মানে তার জানা নেই।
সে মাঝে মাঝে ভাবে, এ রকম অনুভব হওয়ার কারন কী? এর নামই কি ভালোবাসা?
সে উত্তর খুঁজে পায় না। হয় তো এর নামই ভালোবাসা।

পরে মিলি নিজের কাছেই তার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যায়। এর নামই ভালোবাসা। তবে অভ্র কি তাকে ভালোবাসে?
মিলি ভাবতে থাকে...
অভ্র তো একজন কবি। কবিরা তো আকাশের কান্না শুনে, বৃক্ষের সাথে কথা বলে, পাখিদের গান শোনে। প্রকৃতি তাদেরকে সে প্রখর অনুভব শক্তি দান করেছে।
তা হলে সে কেনো মিলির ভালোবাসাটা অনুভব করতে পারছে না?- মিলি বসে বসে এসব ভাবে।

ঘড়ির কাটায় তখন রাত ১২.৩০। মিলি বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। বাইরে কি সুন্দর জোছনা। চার দিকে সব স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
মিলি এক বার ভাবে অভ্রকে ফোন দিবে। তবে, মোবাইলটা হাতে নেয়ার পরও ফোন দেয় না।

এতো সুন্দর জোছনা রাত। অভ্র নিশ্চয়ই এখন কবিতা লেখা নিয়ে ব্যাস্ত। কারন, এতো সুন্দর জোছনা খুব কমই দেখা যায়। এখন অভ্রকে বিরক্ত করাটা ঠিক হবে না।

মিলি দাঁড়িয়ে থাকে বারান্দায়। জোছনা ধরার চেষ্টা করে। তবে সে চেষ্টা বিফল হয়।


To be continued..................

[বিঃদ্রঃ উপন্যাসের পরের অংশটি কাল এই ব্লগে প্রকাশিত হবে]


লেখকঃ জোহেব।


মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৪

অবহেলা (৪র্থ পর্ব)



                                            


                                  অবহেলা (৪র্থ পর্ব)

কলেজের পেছনের পুকুর পাড়ে বসে আছে অভ্র। আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে অপলক দৃষ্টিতে। হাতে কলম আর ডায়েরী। মনে হয় কিছু লেখার চেষ্টা করছে।
একটু পর সে উঠে দাঁড়ালো। আকাশ মেঘলা। ঠান্ডা বাতাস বইছে। এতক্ষন বৃষ্টি ছিলো না। এখন ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়ছে। একটু পর হয়তো বৃষ্টির তোড় বেড়ে যাবে।

সবুজ গাছের পাতার উপর বৃষ্টি পড়ছে।গাছের পাতা গুলো দুলছে। অভ্র সে দৃশ্য দেখছে অবাক চোখে। হঠাৎ, তার মনে কিছু লাইন ভেসে উঠলো। আর সে লাইন গুলো স্থান পেলো তার ডায়েরীতে। এরপর সে হাঁটা শুরু করলো।

পেছন থেকে হঠাৎ মিলির গলা শোনা গেলো। মিলি তাকে ডাকছে। সে ফিরে তাকালো।
মিলি জিজ্ঞেস করলোঃ“কেমন আছো?”
অভ্রঃ“ভালো।”
মিলিঃ“ এতো দিন কলেজে এলে না যে?”
অভ্রঃ“জ্বর ছিলো।”
মিলিঃ“আমি বলেছিলাম না বৃষ্টিতে ভিজলে শরীর খারাপ করবে। দেখলে তো?”
অভ্র কিছু বললো না। চুপচাপ হাঁটছে। তার সাথে মিলিও হাঁটছে।
মিলিঃ“তা কোথায় যাচ্ছো?”
অভ্রঃ“কোথাও না।”
মিলি কিছুটা বিস্মিত হলো। তবে বিস্ময়ের ভাব তা চোখে মুখে নেই।
মিলিঃ“কোথাও না। মানে?”
অভ্রঃ“মানে কিছু না। এমনিই হাঁটছি।”
মিলিঃ“আচ্ছা, তুমি এভাবে হেঁটে কি আনন্দ পাও?”
অভ্রঃ“উদ্দেশ্যহীন ভাবে পথ চলার মাঝে আলাদা এক আনন্দ আছে। তখন কোন কাজের তাড়া থাকে না, থাকে না কোন চিন্তা। শুধু থাকে সীমাহীন পথ, উপরের বিশাল আকাশ আর আমি।”
অভ্র ও মিলি হাঁটছে। চারদিক স্তব্ধ। আকাশে মেঘ জমেছে। যার কারনে চারদিকে অন্ধকার বিরাজ করছে। কিছুক্ষনের মধ্যেই বৃষ্টি নামবে। বাতাস বইছে।
নিঃস্তব্ধ প্রকৃতির মাঝে দু’জন নিঃস্তব্ধ মানুষ হেঁটে যাচ্ছে। 


To be continued..................
[বিঃদ্রঃ উপন্যাসের পরের অংশটি কাল এই ব্লগে প্রকাশিত হবে]


লেখকঃ জোহেব।

সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৪

অবহেলা (২য় পর্ব)



          অবহেলা (২য় পর্ব)
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------
পরের দিন মিলি কলেজে গেলো। শহীদ মিনারের পাশের গাছটার নিচে অভ্র বসে আছে। কি যেন ভাবছে। হয় তো নতুন কোন কবিতা তৈরির চেষ্টা করছে। এমন সময় কাউকে বিরক্ত করা ঠিক নয়। এসব ভেবে মিলি আর অভ্রকে বিরক্ত ক্তলো না।
একটু পর কি যেন মনে করে সে আবার শহীদ মিনারের কাছে গেলো।
অভ্র এখনো বসে আছে। কি যেন ভাবছে। মিলি তার দিকে এগিয়ে গেলো।
একটু সামনে গিয়ে বললঃ “কেমন আছেন?”
অভ্রঃ “ভালো।”
মিলিঃ “আমি কি একটু বসতে পারি?”
অভ্রঃ“বসুন।”
মিলিঃ“আপনি কালকে ডায়েরীটা ছাদে ফেলে গিয়েছিলেন। সেটা দিতে এলাম।”
আভ্রঃ“ধন্যবাদ।”
মিলিঃ“আপনি তো খুব সুন্দর কবিতা লিখেন।”
অভ্র কিছু বললো না। অভ্রর মতে নির্বোধরাই বেশি কথা বলে। এ মেয়েটিকে ও নির্বোধদের কাতারেই ফেলা যায়।
মিলিঃ“বাই দা ওয়ে! আমি মিলি। আমি কি আপনার বন্ধু হতে পারি”।
অভ্রঃ“অবশ্যই পারেন।”
মিলিঃ“আপনি এতো সুন্দর কবিতা লিখেন আগে জানতাম না”।
অভ্রঃ“আমাকে আপনি না বলে তুমি করে বললে খুশি হবো। ঠিক আছে এখন যাই”।
মিলিঃ“ঠিক আছে। তুমি করেই বলবো। তবে এখন কোথায় যাচ্ছো? ক্লাস করবে না”।
অভ্রঃ“ক্লাস করতে ভালো লাগছে না।”
অভ্র চলে গেলো। মিলি ও কিছুক্ষন গাছ তলায় বসে থেকে ক্লাসে চলে গেলো।

ক্লাসে মিলির বন্ধুরা আড্ডা দিচ্ছে। মিলিকে দেখে একজন বললোঃ “কিরে। ওইখানে বসে কি করছিলি? ওই ক্ষ্যাতটার সাথে কথা বলছিলি?”
মিলি রেগে গিয়ে বললোঃ“ কিসের ক্ষ্যাত? ক্ষ্যাত মানে তো জমি। মানুষ আবার ক্ষ্যাত হয় নাকি?”
তাদের মাঝে আরেক জন বলে উঠলোঃ“আরে হয় হয়। দেখিস না অভ্র কেমন ক্ষ্যাতের মতো চলে।”
মিলিঃ“অভ্র ক্ষ্যাত নয়। সে একজন সাদা মনের মানুষ। তার মনে কোন হিংসা নেই, রাগ নেই, অহংকার নেই। একজন অন্য রকম মানুষ। তোদের সবার থেকে আলাদা। অন্তত তোদের মতো কোন কুটিলতা তার মাঝে নেই। আর নিজেদের মানুষিকতাটা একটু চেঞ্জ কর। পোশাক দিয়ে কখনো একজন মানুষকে বিচার করা যায় না।”
-“কিরে মিলি রেগে গেলি মনে হয়?”
-“না রাগিনি।”

To be continued...........
[বিঃদ্রঃ উপন্যাসের পরের অংশটি কাল এই ব্লগে প্রকাশিত হবে]


লেখকঃ জোহেব।