অবহেলা (৬ষ্ঠ পর্ব)
--------------------------------------------------------------------------------
অভ্র বসে আছে লেকের পাড়ে। হাতে কবিতার ডায়েরী। তবে আজকে কি নিয়ে লিখবে খুঁজে পাচ্ছে না। আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে সে। পাখিদের উড়ে যাওয়া দেখছে। এখনো সন্ধ্যা হয় নি, তবে তারা নীড়ে ফিরে যাওয়া শুরু করেছে।
আসলে প্রকৃতির মাঝে বৈচিত্রময়তা আছে বলেই পৃথিবী আমাদের কাছে এতো সুন্দর মনে হয়।
হঠাৎ, পেছন থেকে মিলির গলা শোনা গেলো।
মিলিঃ “কি কবি সাহেব কি করছেন।”
অভ্রঃ “কিছু না, বসো।”
মিলিঃ “তা কি লিখলে দেখি।”
অভ্রঃ “কিছুই না।”
মিলিঃ “কেনো? লিখার কোন বিষয় খুঁজে পাচ্ছো না বুঝি?”
অভ্রঃ “হুম।”
মিলিঃ “কেনো?”
অভ্রঃ “আসলে বুঝতে পারছি না। তাছাড়া, আজ কেনো যেনো লিখতে ইচ্ছে করছে না।”
মিলিঃ “হুম। তো কি ইচ্ছে করছে?”
অভ্রঃ “ইচ্ছে করছে এখানেই বসে থাকি। এভাবেই এখানে বসে বসে বিকেলের আকাশে ক্লান্ত পাখিদের নীড়ে ফেরা দেখি।”
মিলিঃ “তবে পাখিরাতো সন্ধ্যা ঘনালে নীড়ে ফিরে। তা হলে কিছু পাখিদের এমন অসময়ে নীড়ে ফিরতে দেখা যায় কেনো?”
অভ্রঃ “এটাই প্রকৃতির বৈচিত্রতা। এ বৈচিত্রতার কারনেই প্রকৃতির সব কিছু আমাদের কাছে ভালো লাগে।এ বৈচিত্রতা না থাকলে প্রকৃতি একঘেয়ে হয়ে যেতো।”
মিলিঃ “হুম। আচ্ছা, তুমি জোছনা পছন্দ করো?”
অভ্রঃ “হুম। আমি জোছনা রাতে বাঁশি বাজাই। জোছনা রাতই বাঁশি বাজানোর জন্য উত্তম। কারন, তখন চাঁদের আলো আর বাঁশির সুর মিলে এক অন্যরকম পরিবেশের সৃষ্টি করে।”
মিলিঃ “আচ্ছা, জোছনা রাতেই বাঁশি বাজানোর কারন কী? অন্য সময় বাজাও না কেনো?”
অভ্রঃ“মিলি তুমি হয়তো জানো যে পৃথিবীতে আমার বন্ধুর খুবই সংখ্যা কম। এ কম সংখ্যক বন্ধুদের মাঝে চাঁদ ও আমার বন্ধু। আমি চাঁদের সাথে কথা বলি। তার ভাষা হল জোছনা আর আমার ভাষা হল সুর।”
প্রতিবারের মতো এবার ও মিলি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। প্রতিবারই তার কেনো যেনো অভ্রকে নতুন বলে মনে হয়। প্রিয় মানুষদের প্রতিদিন নতুন করে আবিস্কারের মাঝে আলাদা এক আনন্দ আছে।
To be continued.........
[বিঃদ্রঃ উপন্যাসের পরের অংশটি কাল এই ব্লগে প্রকাশিত হবে।]
লেখকঃ জোহেব।