আমার নাম সাকিব।
আমি যখন ঢাকা ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষে একাউন্টিং এ ভর্তি হই,তখন আমি আমার ইন্টারমেডিয়েট এর অনেক বন্ধুদের ই ওইখানে পাই।
একদিন আমার বন্ধু নীরব এর সাথে ক্যাম্পাসে দেখা হলো। অনেক দিন পর দেখা। তখন নীরব আমার কাছে জানতে চাইলো আমি কিসে ভর্তি হয়েছি ? তখন আমি বললাম, একাউন্টিং এ। তখন নীরব বললো, তার এক কাজিন ও নাকি একাউন্টিং এ পড়ে। এরপর নীরব তার কাজিন অর্পার সাথে আমার দেখা করিয়ে দিল। এরপর আমি আর অর্পা বন্ধুত্ব করলাম।
তখন আমার অনেক বন্ধু ছিল। কিন্তু অর্পাকে আমার কেমন যেন অন্যরকম লাগতো। ধীরে ধীরে আমি অর্পার অনেক ক্লোজ হয়ে যাই। এভাবেই আমাদের বন্ধুত্ব চলতে থাকে।
আমার অর্পাকে অনেক ভালোলাগতো। এক সময় আমি মনে মনে অর্পাকে অনেক ভালোবেসে ফেলি।
কিন্তু বলার সাহস হতো না। ভয় পেতাম যদি আমাদের বন্ধুত্ব ভেঁঙে যায়।
এমন করেই দেখতে দেখতে অনেক গুলো বছর পার হয়ে গেলো।
যখন আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষে পড়ি, তখন তাকে আমি আমার মনের কথা সাহস করে এক দিন বলে দেই।
সে কিছুদিন চুপচাপ থাকে, পরে জানতে পারি সে ও আমাকে ভালোবাসে।
এরপর প্রতিদিন ক্যাম্পাসে ওর সাথে দেখা হতো, কথা হতো।
এমন করেই চলতে চলতে সামনে অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা দিলাম। এরপর রেজাল্ট বের হলো। কিছু দিন এর মধ্যে একটি ভালো চাকরি ও পেয়ে গেলাম।
এক দিন সকালে দেখলাম অর্পার ফোন। ফোন রিসিভ করার পর জানতে পারলাম ওর বাবা ওর জন্য পাত্র দেখছেন।
তখন আমরা দুজনেই আমাদের ভালোবাসার কথাটা আমাদের পরিবারকে জানাই। কিন্তু আমাদের দুজনের পরিবার এর ই এই বিয়েতে সম্মতি ছিল না।
কারন, অর্পা হিন্দু আর আমি মুসলমান।
তখন আমি অর্পাকে পালিয়ে বিয়ে করার কথা বললে অর্পা বলে, আমাদের মা-বাবার কথা অমান্য করে আমরা কোন দিনই সুখি হতে পারবো না।
এর কিছু দিন পরেই অর্পার বিয়ে হয়ে যায়।
এখন ও
প্রতিদিন অর্পার কথা মনে পরে।
খুব জানতে ইচ্ছে করে, আমার জানটা ভালো আছে তো ?
খুব জানতে ইচ্ছে করে, আমার জানটা ভালো আছে তো ?
লেখকঃ জোহেব।