মানুষ কখনো কখনো সত্যিকারের ভালোবাসাকে বুঝতে পারে না। আমার জীবনে ও এমন একটি ভুল হয়েছিল।
সে দিন নতুন কলেজ এ গেলাম। সেদিন কলেজের প্রথম দিন। কলেজে ঢুকার পর একটু সামনে এগিয়ে যেতেই মনের অজান্তে ধাক্কা খেয়ে পরে গেলাম। উঠে চোখ ফিরাতেই দেখলাম আমি যে তরুণীর সাথে ধাক্কা খেয়েছিলাম সে ও পড়ে গেছে।
তখন আমি তাকে উঠতে সাহায্য করলাম ও Sorry বললাম।
সে ও It's okay বলে চলে গেলো।
আমি তখন কলেজ এ নতুন তাই ক্লাস খুজছিলাম। কয়েকটা ক্লাস খুঁজে সামনে যাওয়ার পর পিছন থেকে কে যেনো ডাক দিলো, "এই যে শুনছেন"।
পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখলাম সেই তরুণী যার সাথে আমি গেট এর সামনে ধাক্কা খেয়েছিলাম।
সে কাছে এসে বললোঃ" আচ্ছা ফার্স্ট ইয়ার এর সাইন্স গ্রুপের ক্লাস কোনটা?"
আমি ব্ললামঃ" আমি ও তো তা ই খুজছি।"
সে বললোঃ" আপনি ও কি ফার্স্ট সাইন্স এ ?"
আমি ব্ললামঃ "হুম"
এরপর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক জনকে জিজ্ঞেস করার পর লোকটা আমাদের ক্লাসটা দেখিয়ে দিলো। এরপর আমরা ক্লাসে ঢুকলাম। ঢুকার পর সে বললোঃ" আপনি না থাকলে না আজকে পুরো কলেজ ই খোঁজা লাগতো। বাই দা ওয়ে আমি প্রিতি। আপনি?"
আমি ব্ললামঃ" আমি সিয়াম আর আমাকে আপনি করে না বলে তুমি করে বললে খুশি হবো।
এরপর কিছুক্ষন কথা বলার পর আমি যখন বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন পিঠে একটি থাপ্পড় অনুভব করলাম। পিছন ফিরে দেখলাম আমার স্কুল এর বন্ধু রূপা।
রূপাঃ" কিরে কেমন আছিস?"
আমিঃ"এইতো কোন রকম।"
রূপাঃ" তোকে তো আর দেখা ই যায় না, সেই রেজাল্ট দেয়ার সময় দেখলাম এরপর তো কোন খবরই নেই।"
কিছুক্ষন কথা বলার পর আমরা ক্লাসে ঢুকলাম। ক্লাসের সকলের সাথে পরিচয় হলাম।
আমরা একটি ছোটখাটো ফ্রেন্ডস কমিউনিটি ও তৈরি করলাম যার সদস্য হলোঃ আমি, রুপা, প্রিতি, হিমেল ও সায়মন।
প্রথম থেকেই আমি প্রিতির প্রতি একটি অন্যরকম অনুভুতি অনুভব করতাম। কেনো যেনো তার প্রতি আমি একটা অন্যরকম আকর্ষন অনুভব করতাম।
যখন সে হাসতো তখন মনে হতো তার হাসিটা ই বিশ্বের সব চেয়ে সুন্দর হাসি। যখন তার সাথে কথা ব্লতাম তখন মনে হতো আমি কোন এক অন্য জগতে আছি।
এক সময় তার প্রতি আমার এ রকম অনুভুতির কারনটা বুঝতে পারলাম। এর কারন হলো আমি তাকে মনের অজান্তে ভালোবেসে ফেলেছি।
তার সামনে আমি অনেক বার আমার ভালোবাসার কথা প্রকাশ করতে চেয়েছি। কিন্তু পারিনি।
কারন, যখনই আমি তার চোখের দিকে তাকাতাম, তখনই আমি এক অচেনা জগতে হারিয়ে যেতাম। তার সামনে মনের কথা প্রকাশ করাটা এক প্রকার কঠিন কাজ হয়ে দাড়ালো।
তাই আমি চিন্তা করলাম এ কঠিন কাজের জন্য আমার বিশ্বস্ত বন্ধু রূপার সাহায্য নেয়া প্রয়োজন।
কিছুদিন পর এক বিকেলে আমি রূপার কাছে সব কথা খুলে বললাম ও তার কাছে সাহায্য চাইলাম।
রূপা সাহায্য করার জন্য রাজি হলো। কিন্তু এরপর থেকে রূপাকে কেমন যেনো অন্যরকম দেখা যাচ্ছিলো।
এর কিছু দিন পর আমি ও রূপা প্রিতিকে ক্যাম্পাস এ আসতে বললাম। এরপর আমার পক্ষ থেকে রূপা আমার ভালোবাসার কথাটা প্রিতিকে জানালো।
তখন প্রিতির মুখ থেকে জানতে পারলাম প্রিতি সায়মন কে ভালোবাসে। এ কথাটা শোনার পর আমার মনে হলো আমার চারদিকটা কেমন যেনো অন্ধকার হয়ে আসছে। আমার মুখ দিয়ে আর একটা কথা ও বের হলো না।
কিছুক্ষন এভাবে নিস্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম।
হৃদয় ভাঙ্গার ব্যাথার তীব্রতা কেমন হয় তা আমি সে দিন বুঝতে পারলাম।
এরপর অনেক দিন কারো সাথে যোগাযোগ ছিল না। এরপর সামনে চলে এলো H.S.C পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর যখন রেজাল্ট দেখার জন্য কলেজে গেলাম, তখন হিমেলের মুখ থেকে জানতে পারলাম, রূপা আমাকে মনে মনে খুব ভালোবাসতো। কিন্তু যখন রূপা তার ভালোবাসার কথা আমাকে জানাতে গিয়েছিলো তখনই জানতে পেরেছিলো আমি প্রিতিকে ভালোবাসি। তাই সে তার মনের কথা গুলো আমাকে জানায় নি। বরং কষ্ট গুলোকে নিজের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছে।
এ কথাটা জানার পর আমি রূপার নাম্বার এ ফোন দিলাম দেখলাম নাম্বারটা বন্ধ। আমি তখন ছুটে গেলাম রূপার বাসায়। বাড়িওয়ালাকে জিজ্ঞেস করার পর জানতে পারলাম তারা তিন দিন আগেই বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছে।
এরপর আমি পাগলের মতো রূপাকে সব জায়গায় খুজলাম তবে কোথাও পাইনি।
এভাবে আমি আমার সত্যিকারের ভালোবাসাটাকে হারালাম।
লেখকঃ জোহেব
সে দিন নতুন কলেজ এ গেলাম। সেদিন কলেজের প্রথম দিন। কলেজে ঢুকার পর একটু সামনে এগিয়ে যেতেই মনের অজান্তে ধাক্কা খেয়ে পরে গেলাম। উঠে চোখ ফিরাতেই দেখলাম আমি যে তরুণীর সাথে ধাক্কা খেয়েছিলাম সে ও পড়ে গেছে।
তখন আমি তাকে উঠতে সাহায্য করলাম ও Sorry বললাম।
সে ও It's okay বলে চলে গেলো।
আমি তখন কলেজ এ নতুন তাই ক্লাস খুজছিলাম। কয়েকটা ক্লাস খুঁজে সামনে যাওয়ার পর পিছন থেকে কে যেনো ডাক দিলো, "এই যে শুনছেন"।
পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখলাম সেই তরুণী যার সাথে আমি গেট এর সামনে ধাক্কা খেয়েছিলাম।
সে কাছে এসে বললোঃ" আচ্ছা ফার্স্ট ইয়ার এর সাইন্স গ্রুপের ক্লাস কোনটা?"
আমি ব্ললামঃ" আমি ও তো তা ই খুজছি।"
সে বললোঃ" আপনি ও কি ফার্স্ট সাইন্স এ ?"
আমি ব্ললামঃ "হুম"
এরপর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক জনকে জিজ্ঞেস করার পর লোকটা আমাদের ক্লাসটা দেখিয়ে দিলো। এরপর আমরা ক্লাসে ঢুকলাম। ঢুকার পর সে বললোঃ" আপনি না থাকলে না আজকে পুরো কলেজ ই খোঁজা লাগতো। বাই দা ওয়ে আমি প্রিতি। আপনি?"
আমি ব্ললামঃ" আমি সিয়াম আর আমাকে আপনি করে না বলে তুমি করে বললে খুশি হবো।
এরপর কিছুক্ষন কথা বলার পর আমি যখন বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন পিঠে একটি থাপ্পড় অনুভব করলাম। পিছন ফিরে দেখলাম আমার স্কুল এর বন্ধু রূপা।
রূপাঃ" কিরে কেমন আছিস?"
আমিঃ"এইতো কোন রকম।"
রূপাঃ" তোকে তো আর দেখা ই যায় না, সেই রেজাল্ট দেয়ার সময় দেখলাম এরপর তো কোন খবরই নেই।"
কিছুক্ষন কথা বলার পর আমরা ক্লাসে ঢুকলাম। ক্লাসের সকলের সাথে পরিচয় হলাম।
আমরা একটি ছোটখাটো ফ্রেন্ডস কমিউনিটি ও তৈরি করলাম যার সদস্য হলোঃ আমি, রুপা, প্রিতি, হিমেল ও সায়মন।
প্রথম থেকেই আমি প্রিতির প্রতি একটি অন্যরকম অনুভুতি অনুভব করতাম। কেনো যেনো তার প্রতি আমি একটা অন্যরকম আকর্ষন অনুভব করতাম।
যখন সে হাসতো তখন মনে হতো তার হাসিটা ই বিশ্বের সব চেয়ে সুন্দর হাসি। যখন তার সাথে কথা ব্লতাম তখন মনে হতো আমি কোন এক অন্য জগতে আছি।
এক সময় তার প্রতি আমার এ রকম অনুভুতির কারনটা বুঝতে পারলাম। এর কারন হলো আমি তাকে মনের অজান্তে ভালোবেসে ফেলেছি।
তার সামনে আমি অনেক বার আমার ভালোবাসার কথা প্রকাশ করতে চেয়েছি। কিন্তু পারিনি।
কারন, যখনই আমি তার চোখের দিকে তাকাতাম, তখনই আমি এক অচেনা জগতে হারিয়ে যেতাম। তার সামনে মনের কথা প্রকাশ করাটা এক প্রকার কঠিন কাজ হয়ে দাড়ালো।
তাই আমি চিন্তা করলাম এ কঠিন কাজের জন্য আমার বিশ্বস্ত বন্ধু রূপার সাহায্য নেয়া প্রয়োজন।
কিছুদিন পর এক বিকেলে আমি রূপার কাছে সব কথা খুলে বললাম ও তার কাছে সাহায্য চাইলাম।
রূপা সাহায্য করার জন্য রাজি হলো। কিন্তু এরপর থেকে রূপাকে কেমন যেনো অন্যরকম দেখা যাচ্ছিলো।
এর কিছু দিন পর আমি ও রূপা প্রিতিকে ক্যাম্পাস এ আসতে বললাম। এরপর আমার পক্ষ থেকে রূপা আমার ভালোবাসার কথাটা প্রিতিকে জানালো।
তখন প্রিতির মুখ থেকে জানতে পারলাম প্রিতি সায়মন কে ভালোবাসে। এ কথাটা শোনার পর আমার মনে হলো আমার চারদিকটা কেমন যেনো অন্ধকার হয়ে আসছে। আমার মুখ দিয়ে আর একটা কথা ও বের হলো না।
কিছুক্ষন এভাবে নিস্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম।
হৃদয় ভাঙ্গার ব্যাথার তীব্রতা কেমন হয় তা আমি সে দিন বুঝতে পারলাম।
এরপর অনেক দিন কারো সাথে যোগাযোগ ছিল না। এরপর সামনে চলে এলো H.S.C পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর যখন রেজাল্ট দেখার জন্য কলেজে গেলাম, তখন হিমেলের মুখ থেকে জানতে পারলাম, রূপা আমাকে মনে মনে খুব ভালোবাসতো। কিন্তু যখন রূপা তার ভালোবাসার কথা আমাকে জানাতে গিয়েছিলো তখনই জানতে পেরেছিলো আমি প্রিতিকে ভালোবাসি। তাই সে তার মনের কথা গুলো আমাকে জানায় নি। বরং কষ্ট গুলোকে নিজের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছে।
এ কথাটা জানার পর আমি রূপার নাম্বার এ ফোন দিলাম দেখলাম নাম্বারটা বন্ধ। আমি তখন ছুটে গেলাম রূপার বাসায়। বাড়িওয়ালাকে জিজ্ঞেস করার পর জানতে পারলাম তারা তিন দিন আগেই বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছে।
এরপর আমি পাগলের মতো রূপাকে সব জায়গায় খুজলাম তবে কোথাও পাইনি।
এভাবে আমি আমার সত্যিকারের ভালোবাসাটাকে হারালাম।
লেখকঃ জোহেব
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন