হঠাৎ করেই ফোনটা বেজে উঠলো। রাজিব পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে দেখলো আনিকার নাম্বার।
রাজিব ও আনিকা দু জনেই ভালো বন্ধু। ইন্টার মেডিয়েট থেকেই তারা এক সাথে পড়া-লেখা করে।
এখন তারা অনার্স ফাইনাল ইয়ার এ পড়ে। রাজিব আনিকাকে মনে মনে ভালোবাসতো। তবে কোন দিন বলতে পারে নি।
রাজিব ফোনটা ধরতেই আনিকা রাজিব কে ধানমন্ডি লেক এর সামনে আসতে বললো।
তবে আজ আনিকার গলাটা কেনো যেন অন্যরকম শোনা যাচ্ছিল।
রাজিব ধানমন্ডি লেক এর সামনে যাওয়ার পর আনিকার মুখ থেকে জানতে পারলো আনিকা তাদের ডিপার্টমেন্ট এর নিলয়কে ভালোবাসে। কিন্তু বলতে পারছে না। এখন রাজিব কে হেল্প করার জন্য বললো। কারন, রাজিব ও নিলয় ভালো বন্ধু।
আনিকার মুখে এই কথা গুলো শোনার পর রাজিবের মনে হলো তার চারদিকটা অন্ধকার হয়ে আসছে।
পরদিন রাজিব নিলয়ের কাছে আনিকার ভালোবাসার কথাটা বললো।
সে দিন বিকেলেই রাজিব আনিকা ও নিলয়কে সারা জীবনের জন্য এক সাথে করে দিয়ে আসলো।
নিলয় ও আনিকাকে এক সাথে মিলিয়ে দেয়ার পর রাজিব হেঁটে চলে যাচ্ছে। আনিকা তাকে ডাকলো। রাজিব পিছন ফিরার পর আনিকা দেখলো রাজিবের চোখে পানি।
আনিকা জিজ্ঞেস করলোঃ কিরে তোর চোখে পানি কেনো?
রাজিব বললোঃ কই পানি? মনে হয় চোখে কিছু পড়েছে।
এরপর রাজিব হেঁটে চলে গেলো।
কিছু দিন পর রাজিব U.S.A তে চলে গেলো।
চার বছর পর রাজিব বাংলাদেশ এ আসলো ভার্সিটির পুনর্মিলনি অনুষ্ঠান এ।
তখন সে দেখতে পেল অনুষ্ঠানের প্রথম সারিতে বসে আছে নিলয় ও আনিকা। আনিকার কোলে একটি ছোট বাচ্চা।
দূর থেকে রাজিবকে দেখেই আনিকা দৌড়ে এসে বললোঃ এত দিন কোথায় ছিলি? আর না বলে কোথায় চলে গিয়ে ছিলি?
রাজিব মুচকি হাসলো, কোন উত্তর দিলো না।
আনিকা দেখলো রাজিব কেমন যেন পাগলের মতো হয়ে গেছে। আনিকা আগের রাজিবকে আর এখনকার রাজিবকে মিলাতে পারছে না।
কিছুক্ষন পর রাজিব অনুষ্ঠান থেকে একটু তাড়াতাড়ি চলে গেল।
এখন রাজিব সে স্থানটিতে বসে আছে যেখানে সে ও আনিকা প্রায়ই বসে থাকতো। রাজিবের চোখ দুটো ভিজে আসছে। রাজিব মনে মনে বলেঃ না বলা কথা গুলো আর বলা হয় নি। হয়তো আর বলা হবে না কখনো। তবুও তোমাকে সারাটি জীবন ভালোবেসে যাবো।
Writter: জোহেব
রাজিব ও আনিকা দু জনেই ভালো বন্ধু। ইন্টার মেডিয়েট থেকেই তারা এক সাথে পড়া-লেখা করে।
এখন তারা অনার্স ফাইনাল ইয়ার এ পড়ে। রাজিব আনিকাকে মনে মনে ভালোবাসতো। তবে কোন দিন বলতে পারে নি।
রাজিব ফোনটা ধরতেই আনিকা রাজিব কে ধানমন্ডি লেক এর সামনে আসতে বললো।
তবে আজ আনিকার গলাটা কেনো যেন অন্যরকম শোনা যাচ্ছিল।
রাজিব ধানমন্ডি লেক এর সামনে যাওয়ার পর আনিকার মুখ থেকে জানতে পারলো আনিকা তাদের ডিপার্টমেন্ট এর নিলয়কে ভালোবাসে। কিন্তু বলতে পারছে না। এখন রাজিব কে হেল্প করার জন্য বললো। কারন, রাজিব ও নিলয় ভালো বন্ধু।
আনিকার মুখে এই কথা গুলো শোনার পর রাজিবের মনে হলো তার চারদিকটা অন্ধকার হয়ে আসছে।
পরদিন রাজিব নিলয়ের কাছে আনিকার ভালোবাসার কথাটা বললো।
সে দিন বিকেলেই রাজিব আনিকা ও নিলয়কে সারা জীবনের জন্য এক সাথে করে দিয়ে আসলো।
নিলয় ও আনিকাকে এক সাথে মিলিয়ে দেয়ার পর রাজিব হেঁটে চলে যাচ্ছে। আনিকা তাকে ডাকলো। রাজিব পিছন ফিরার পর আনিকা দেখলো রাজিবের চোখে পানি।
আনিকা জিজ্ঞেস করলোঃ কিরে তোর চোখে পানি কেনো?
রাজিব বললোঃ কই পানি? মনে হয় চোখে কিছু পড়েছে।
এরপর রাজিব হেঁটে চলে গেলো।
কিছু দিন পর রাজিব U.S.A তে চলে গেলো।
চার বছর পর রাজিব বাংলাদেশ এ আসলো ভার্সিটির পুনর্মিলনি অনুষ্ঠান এ।
তখন সে দেখতে পেল অনুষ্ঠানের প্রথম সারিতে বসে আছে নিলয় ও আনিকা। আনিকার কোলে একটি ছোট বাচ্চা।
দূর থেকে রাজিবকে দেখেই আনিকা দৌড়ে এসে বললোঃ এত দিন কোথায় ছিলি? আর না বলে কোথায় চলে গিয়ে ছিলি?
রাজিব মুচকি হাসলো, কোন উত্তর দিলো না।
আনিকা দেখলো রাজিব কেমন যেন পাগলের মতো হয়ে গেছে। আনিকা আগের রাজিবকে আর এখনকার রাজিবকে মিলাতে পারছে না।
কিছুক্ষন পর রাজিব অনুষ্ঠান থেকে একটু তাড়াতাড়ি চলে গেল।
এখন রাজিব সে স্থানটিতে বসে আছে যেখানে সে ও আনিকা প্রায়ই বসে থাকতো। রাজিবের চোখ দুটো ভিজে আসছে। রাজিব মনে মনে বলেঃ না বলা কথা গুলো আর বলা হয় নি। হয়তো আর বলা হবে না কখনো। তবুও তোমাকে সারাটি জীবন ভালোবেসে যাবো।
Writter: জোহেব
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন