আজ মীরার মন খারাপ। কারন, আজ ১০ম শ্রেণীর বিদায়
অনুষ্ঠান। তার মনের ভেতর অনেক গুলো কথা জমা হয়ে আছে। আজ কথা গুলো না বলতে
পারলে হয়তো আর কখনোই বলা হয়ে উঠবে না।
আজ যে তাকে অর্ক এর কাছে তার মনের কথা গুলো জানাতেই হবে।
অর্ক মীরার বন্ধু। ছোট বেলা থেকেই দু'জন এক সাথে পড়া-লেখা করছে। মীরা অর্ককে ভালোবাসে। তবে অর্কর সামনে এ কথা বলার সাহস মীরার কোন দিনই হয় নি।
অন্যদিকে, অর্কর ও ঠিক একই কারনে মন খারাপ। সেও মীরাকে ভালোবাসে। তবে সে এ কথা প্রকাশ করার সাহস কোন দিন পায় নি।
আজ অর্ক সাদা রঙের পাঞ্জাবী পড়ে একটা বেঞ্চে বসে আছে। হঠাৎ, করে দেখলো মীরা হল রুমে ঢুকছে।
কালো শাড়ীতে মীরাকে অপ্সরীর মতো দেখচ্ছে। অর্ক কিছুক্ষন সে দিকে তাকিয়ে থেকে এরপর অন্যমনস্ক হয়ে কি যেন চিন্তা করছিলো।
এ দিকে মীরা অর্ককে দেখেছে। দেখে ও না দেখার ভান করে অন্যদিকে চলে গেলো। কারন, সে জানে সে আজ তার মনের কথা বলতে পারবে না।
সব সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অর্ক ও মীরাকে এক সাথে দেখা যেতো। তবে আজ তারা একে অপরের থেকে অনেক দূরে দূরে বসেছে।
অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর অর্ক মীরার সাথে দেখা না করেই বাড়িতে চলে গেলো।
অন্যদিকে, মীরাও অর্ককে না দেখতে পেয়ে বেশি খোঁজাখুজি করলো না।
তবে বাড়িতে এসে বালিশে মুখ লুকিয়ে কিছুক্ষন কান্না করলো।
অন্যদিকে, অর্কর একটা স্বভাব ছিলো ডায়েরী লেখা। সে সব সময় ডায়েরী লিখতো। সে তার সকল কথা ডায়েরীতে লিখে রাখতো। আজ সে ডায়েরীতে লিখলোঃ " না বলা কথা গুলো আজও বলা হলো না। হয়তো আর কখনোই বলা হবে না"। কথাটা লিখার পর অর্ক একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো।
এস.এস. সি. পরীক্ষার পর অর্ক ঢাকা চলে গেলো। আর মীরা খুলনায় চলে গেল।
তারা দু'জন আলাদা আলাদা স্থানে থাকলে ও তাদের মন এক সাথে থাকতো। অর্ক বেশির ভাগ সময় মীরাকে নিয়ে ভাবতো। আর মীরাও সারাদিন অর্ককে নিয়ে ভাবতো।
এভাবে কেটে গেলো ৮টি বছর। অর্ক ও মীরা দু'জনেই অনার্স শেষ করে মাস্টার্স এ পড়ছে। এখনো তারা দু'জন দু'জন কে তত টাই ভালোবাসে যতোটা আগে বাসতো।
মীরা এখন ঢাকায় থাকে।
একদিন অর্ক ঢাকার রমনা পার্কে বসেছিলো। অর্ক সব সময় তার ডায়েরীটাকে সাথে রাখতো। আজও ডায়েরীটা সাথে নিয়ে এসেছে।
আজ অর্ক একটু অন্যমনস্ক ছিলো, তাই সে যাওয়ার সময় ভুলে ডায়েরীটা পার্কের যে স্থানে বসেছিলো সে স্থানে ফেলে এসেছে।
সৃষ্টিকর্তা সে দিন হয়তো মুখ তুলে তাকিয়ে ছিলেন তাদের দিকে।
কিছুক্ষন পর মীরা রমনা পার্কে গেলো। এবং সে স্থানটিতে বসলো যেখানে অর্ক বসেছিলো।
সে দেখতে পেলো একটি ডায়েরী পড়ে আছে। সে ডায়েরীটি হাতে নিয়ে খুললো।
ডায়েরীর প্রথম পাতায় অর্ক তার ছবি রেখেছিলো। যার ফলে ছবিটি দেখেই মীরা চিনতে পারলো, এ যে তার প্রিয় মানুষটির ডায়েরী। এরপর সে পুরো ডায়েরীটা পড়ে বুঝতে পারলো অর্ক তাকে কতোটা ভালোবাসে।
অন্যদিকে, অনেক দূরে যাওয়ার পর অর্কর মনে হলো সে তার ডায়েরীটা পার্কে ফেলে এসেছে। হঠাৎ, তার বুকের ভেতরটা কেমন করে উঠলো। সে তার সমস্ত পুরোনো স্মৃতি গুলো এ ডায়েরীতে লিখে রেখেছিলো।
এ তখনই ছুটে গেলো রমনা পার্কে। গিয়ে সে দেখলো সেখানে মীরা বসে আছে। মীরার হাতে তার ডায়েরীটি।
এমনটা কখনো হবে অর্ক কখনো স্বপ্নেও ভাবে নি।
অর্ককে দেখে মীরা উঠে আসলো, অর্কর সামনে দাঁড়ালো। অর্ক দেখলো মীরার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝড়ছে। তারা দু'জন ই দু'জন কে চিনতে পেরেছে।
হঠাৎ, মীরা বলে উঠলোঃ " এতো ভালোবাসিস আমায়? কোন দিন বললি না কেনো?
অর্ক বললোঃ " বলার অনেক চেষ্টা করেছি তবে বলতে পারিনি।"
আজ অর্ক ও মীরার বিয়ে। মীরা অর্ককে বললোঃ " কিরে কেমন লাগছে আমাকে? "
অর্ক বললোঃ" লাগছে তো, পেত্নির মত।"
মীরাঃ" কি আমি পেত্নি ? দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা?"
অর্কঃ " ওরে পেত্নির অত্যাচার শুরু হয়ে গেলো রে। তা অভ্যাস করে নেই, কারন সারাটি জীবন তো এই পেত্নির অত্যাচার ই সহ্য করতে হবে।"
মীরাঃ" সত্যি করে বল, আমাকে ছেড়ে কোতাহ ও যাবি না। সারাটি জীবন এভাবেই আমার পাশে থাকবি।"
অর্কঃ কথা দিচ্ছি। সারাটি জীবন তোর পাশে থাকবো।"
লেখকঃ জোহেব।
আজ যে তাকে অর্ক এর কাছে তার মনের কথা গুলো জানাতেই হবে।
অর্ক মীরার বন্ধু। ছোট বেলা থেকেই দু'জন এক সাথে পড়া-লেখা করছে। মীরা অর্ককে ভালোবাসে। তবে অর্কর সামনে এ কথা বলার সাহস মীরার কোন দিনই হয় নি।
অন্যদিকে, অর্কর ও ঠিক একই কারনে মন খারাপ। সেও মীরাকে ভালোবাসে। তবে সে এ কথা প্রকাশ করার সাহস কোন দিন পায় নি।
আজ অর্ক সাদা রঙের পাঞ্জাবী পড়ে একটা বেঞ্চে বসে আছে। হঠাৎ, করে দেখলো মীরা হল রুমে ঢুকছে।
কালো শাড়ীতে মীরাকে অপ্সরীর মতো দেখচ্ছে। অর্ক কিছুক্ষন সে দিকে তাকিয়ে থেকে এরপর অন্যমনস্ক হয়ে কি যেন চিন্তা করছিলো।
এ দিকে মীরা অর্ককে দেখেছে। দেখে ও না দেখার ভান করে অন্যদিকে চলে গেলো। কারন, সে জানে সে আজ তার মনের কথা বলতে পারবে না।
সব সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অর্ক ও মীরাকে এক সাথে দেখা যেতো। তবে আজ তারা একে অপরের থেকে অনেক দূরে দূরে বসেছে।
অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর অর্ক মীরার সাথে দেখা না করেই বাড়িতে চলে গেলো।
অন্যদিকে, মীরাও অর্ককে না দেখতে পেয়ে বেশি খোঁজাখুজি করলো না।
তবে বাড়িতে এসে বালিশে মুখ লুকিয়ে কিছুক্ষন কান্না করলো।
অন্যদিকে, অর্কর একটা স্বভাব ছিলো ডায়েরী লেখা। সে সব সময় ডায়েরী লিখতো। সে তার সকল কথা ডায়েরীতে লিখে রাখতো। আজ সে ডায়েরীতে লিখলোঃ " না বলা কথা গুলো আজও বলা হলো না। হয়তো আর কখনোই বলা হবে না"। কথাটা লিখার পর অর্ক একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো।
এস.এস. সি. পরীক্ষার পর অর্ক ঢাকা চলে গেলো। আর মীরা খুলনায় চলে গেল।
তারা দু'জন আলাদা আলাদা স্থানে থাকলে ও তাদের মন এক সাথে থাকতো। অর্ক বেশির ভাগ সময় মীরাকে নিয়ে ভাবতো। আর মীরাও সারাদিন অর্ককে নিয়ে ভাবতো।
এভাবে কেটে গেলো ৮টি বছর। অর্ক ও মীরা দু'জনেই অনার্স শেষ করে মাস্টার্স এ পড়ছে। এখনো তারা দু'জন দু'জন কে তত টাই ভালোবাসে যতোটা আগে বাসতো।
মীরা এখন ঢাকায় থাকে।
একদিন অর্ক ঢাকার রমনা পার্কে বসেছিলো। অর্ক সব সময় তার ডায়েরীটাকে সাথে রাখতো। আজও ডায়েরীটা সাথে নিয়ে এসেছে।
আজ অর্ক একটু অন্যমনস্ক ছিলো, তাই সে যাওয়ার সময় ভুলে ডায়েরীটা পার্কের যে স্থানে বসেছিলো সে স্থানে ফেলে এসেছে।
সৃষ্টিকর্তা সে দিন হয়তো মুখ তুলে তাকিয়ে ছিলেন তাদের দিকে।
কিছুক্ষন পর মীরা রমনা পার্কে গেলো। এবং সে স্থানটিতে বসলো যেখানে অর্ক বসেছিলো।
সে দেখতে পেলো একটি ডায়েরী পড়ে আছে। সে ডায়েরীটি হাতে নিয়ে খুললো।
ডায়েরীর প্রথম পাতায় অর্ক তার ছবি রেখেছিলো। যার ফলে ছবিটি দেখেই মীরা চিনতে পারলো, এ যে তার প্রিয় মানুষটির ডায়েরী। এরপর সে পুরো ডায়েরীটা পড়ে বুঝতে পারলো অর্ক তাকে কতোটা ভালোবাসে।
অন্যদিকে, অনেক দূরে যাওয়ার পর অর্কর মনে হলো সে তার ডায়েরীটা পার্কে ফেলে এসেছে। হঠাৎ, তার বুকের ভেতরটা কেমন করে উঠলো। সে তার সমস্ত পুরোনো স্মৃতি গুলো এ ডায়েরীতে লিখে রেখেছিলো।
এ তখনই ছুটে গেলো রমনা পার্কে। গিয়ে সে দেখলো সেখানে মীরা বসে আছে। মীরার হাতে তার ডায়েরীটি।
এমনটা কখনো হবে অর্ক কখনো স্বপ্নেও ভাবে নি।
অর্ককে দেখে মীরা উঠে আসলো, অর্কর সামনে দাঁড়ালো। অর্ক দেখলো মীরার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝড়ছে। তারা দু'জন ই দু'জন কে চিনতে পেরেছে।
হঠাৎ, মীরা বলে উঠলোঃ " এতো ভালোবাসিস আমায়? কোন দিন বললি না কেনো?
অর্ক বললোঃ " বলার অনেক চেষ্টা করেছি তবে বলতে পারিনি।"
আজ অর্ক ও মীরার বিয়ে। মীরা অর্ককে বললোঃ " কিরে কেমন লাগছে আমাকে? "
অর্ক বললোঃ" লাগছে তো, পেত্নির মত।"
মীরাঃ" কি আমি পেত্নি ? দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা?"
অর্কঃ " ওরে পেত্নির অত্যাচার শুরু হয়ে গেলো রে। তা অভ্যাস করে নেই, কারন সারাটি জীবন তো এই পেত্নির অত্যাচার ই সহ্য করতে হবে।"
মীরাঃ" সত্যি করে বল, আমাকে ছেড়ে কোতাহ ও যাবি না। সারাটি জীবন এভাবেই আমার পাশে থাকবি।"
অর্কঃ কথা দিচ্ছি। সারাটি জীবন তোর পাশে থাকবো।"
লেখকঃ জোহেব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন