সকালে সাকিবের ঘুম ভাঙ্গলো চেচামেচিতে। ঘুম থেকে উঠেই সাকিব বললোঃ"ওহ। বাইরে এতো চেচামেচি কিসের ?"
সাকিবের চাচাতো ভাই রফিক এসে বললোঃ" একি সাকিব চাই? তুমি
এখনো রেডিই হওনি।"
সাকিবঃ "কেনো কোথায় যাচ্ছি?"
রফিকঃ" তুমি ভুলে গেলে আমরা তো আজ বান্দর বান যাচ্ছি।"
সাকিবঃ" হুম। বাবা-মা কি রেডি হয়েছে?"
রফিকঃ" হুম। ওনারা রেডি। মাল পত্র সব গোছানো শেষ। তুমি ও রেডি হয়ে নাও।"
সাকিবঃ"ঠিক আছে তুমি যাও। আমি আসছি।"
সাকিব তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিলো। নিচে নেমে দেখলো সব গোছানো শেষ।
সাকিব রফিককে জিজ্ঞেস করলোঃ" আমরা কয়টায় রওনা দিবো?"
রফিক বললোঃ"এইতো ১০টার দিকে।"
সাকিব অপেক্ষা করতে লাগলো। বন্ধুদের কাছে শুনেছে। বান্দর বান খুব সুন্দর যায়গা। তবে কোন দিন যাওয়া হয় নি। সে আজ খুব খুশি। কারন, তার বাবা বান্দর বান জেলায় বদলি হওয়ার কারনে সে এমন একটি যায়গায় থাকার সুযোগ পাচ্ছে।
একটু পর সাকিবের বাবা সাকিবকে গাড়িতে উঠার জন্য বললেন। সাকিব গাড়িতে বসে মোবাইলে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে লাগলো। শুনতে শুনতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লো মনে নেই।
যখন ঘুম ভাঙ্গলো তখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। সে রফিককে জিজ্ঞেস করলোঃ"রফিক, আমরা এখন কোথায় আছি?"
রফিকঃ" আমরা তো এখন বান্দর বানে।"
রফিকের কথা শুনে তাড়াতাড়ি গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে দেখলো সাকিব। এতো সুন্দর যায়গা সে এর আগে কোথাও দেখে নি।
সাকিব বললোঃ" আচ্ছা, রফিক আমরা এখন কোন যায়গায় যাচ্ছি?"
রফিকঃ" নীল গিরির কাছে একটা সরকারি বাংলো আছে। আমরা সেখানে যাচ্ছি।"
সাকিব গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে। এমন সময় রফিক বললোঃ"সাকিব ভাই নামুন। আমরা চলে এসেছি।"
রাতের খাবার শেষে সাকিব বললোঃ" ভালো লাগছে না। আচ্ছা, রফিক এখানে আসে পাশে কোন সুন্দর পাহাড় আছে।"
রফিকঃ" হ্যা। আছে তো।"
সাকিবঃ" ঘরে বসে থাকতে ভালো লাগছে না। চলো পাহাড়টা ঘুরে আসি।"
রফিকঃ"এতো রাতে?"
সাকিবঃ" এতো রাতে কোথায় ? সবে তো মাত্র ৮.৩০ বাজে।"
রফিকঃ"ঠিক আছে। চলো।"
রফিক টর্চ লাইট নিয়ে সাকিবের পেছন পেছন এলো।
সাকিব বললোঃ"রফিক টর্চের কি দরকার ছিলো? আজ তো জোছনা সব তো পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে।"
রফিকঃ"তা তো দেখছিই। তবু ও রাতে চলতে গেলে সাথে টর্চ রাখা প্রয়োজন।"
সাকিবঃ" তা তুমি ঠিক বলেছো।"
রফিকঃ" আচ্ছা সাকিব ভাই আজ কি তুমি বাঁশি বাজাবে।"
সাকিবঃ"হ্যা। এই জন্যই তো সাথে করে বাঁশিটা আনলাম।"
কথা বলতে বলতে তারা পাহাড়ের উপর উঠলো। জোছনার আলোয় সব পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। রফিক এক পাশে বসে সিগারেট ধরাচ্ছে। অন্যদিকে, সাকিব আপন মনে বাঁশি বাজাচ্ছে। এতো রাতে এই পাহাড়ের কাছে কোন মানুষ থাকে না।
সাকিবের বাঁশির আওয়াজ এক প্রকার প্রতিধ্বনি সৃষ্টি করছে।
এভাবে সে প্রতিদিন ই বাঁশি বাজায়। একেক দিন বাঁশির সুর একেক রকম শোনা যায়।
অন্যদিকে, তার বাঁশির সুরে ও যে কারো মন টানে এটা সাকিব জানতো না।
নীলাদের বাড়ি থেকে সাকিব যে পাহাড়টিতে বসে বাঁশি বাজাতো সে পাহাড়টি স্পষ্ট দেখা যায়।
সে পাহাড়টি থেকেই প্রতিরাতে ভেসে আসে বাঁশির সুর। নীলা মাঝে মাঝে ভাবে এতো সুন্দর করে কেউ কিভাবে বাঁশি বাজায়?
প্রতিদিন এ বাঁশির শব্দ শোনার জন্য নীলার মন আনচান করে।
সে তার জানালার পাশের টেবিলে বসে অপেক্ষা করে সেই বাঁশির সুর সোনার জন্য।
একদিন সে ভাবলো যে, কে এতো সুন্দর করে বাঁশি বাজায়। তাকে একবার দেখতে হবে। তাই, এক জোছনা রাতে যখন সাকিব বাঁশি বাজাচ্ছিলো তখন নীলা সেই পাহাড়ের কাছে গেলো। সে যতই কাছে যাচ্ছে বাঁশির সুর ততই স্পষ্ট সোনা যাচ্ছে।
সে সাকিবের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলোঃ" কে আপনি?"
সাকিব হঠাৎ কথা শুনে চমকে উঠলো। সে পেছনে ফিরে দেখলো একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নিজেকে সামলে নিয়ে বললোঃ" আমি সাকিব। সামনের বাংলোতে থাকি। এখানে নতুন এসেছি।"
নীলাঃ" আপনি কি প্রতিদিনই এখানে বাঁশি বাজান?"
সাকিবঃ" হ্যা।"
নীলাঃ" আপনি আসলেই খুব সুন্দর বাঁশি বাজান।"
সাকিবঃ" ধন্যবাদ।"
নীলাঃ" আমি কি আপনার বন্ধু হতে পারি?"
সাকিবঃ" অবশ্যই।"
এভাবেই সাকিব ও নীলার বন্ধুত্ব শুরু হয়। মাঝে মাঝে সাকিব এ পাহাড়ে বসে বাঁশি বাজায়। আর নীলা তার পাশে বসে মুগ্ধ হয়ে সেই বাঁশির আওয়াজ শুনে। সময় যে কিভাবে পার হয়ে যেতো তা তারা দু'জনেই বুঝতে পারতো না।
ধীরে ধীরে সাকিব ও নীলা দু'জনের মাঝেই এক ধরনের ভালোলাগা কাজ করতে লাগলো।
তাদের এ ভালোলাগা একদিন ভালোবাসায় পরিণত হলো।
এক বিকেলে সাকিব দেখলো তার মোবাইলে নীলা ফোন দিয়েছে। ফোন ধরার পর নীলা বললোঃ" সাকিব, তুমি কি একটু পাহাড়ে আসতে পারবে?"
সাকিবঃ" হ্যা পারবো। কিন্তু কেনো?"
নীলাঃ" তোমার সাথে কিছু জরুরী কথা আছে।"
সাকিবঃ" কি কথা?"
নীলাঃ" আগে তুমি আসো। তারপর বলছি।"
সাকিব সে পাহাড়ে গেলো। গিয়ে দেখলো নীলা দাঁড়িয়ে আছে। নীলার সামনে যেতেই সাকিব দেখলো নীলার চোখে পানি।
সাকিবঃ" কি হয়েছে তোমার?"
নীলাঃ" বাবা-মা আমার জন্য পাত্র দেখছে।"
সাকিবঃ" তুমি কি তোমার পরিবারের কাছে আমাদের সম্পর্কের কথা জানিয়েছো?"
নীলাঃ" না।"
সাকিবঃ" ঠিক আছে আজকে জানিয়ো।"
নীলাঃ" ঠিক আছে।"
সাকিব ও নীলা দু'জনেই তাদের পরিবারের কাছে জানিয়েছে। তবে তাদের কারো পরিবারই রাজি হয় নি। কারন, সাকিব মুসলমান আর নীলা হিন্দু।
নীলার বাবা-মা তাড়াতাড়ি অন্য যায়গায় নীলার বিয়ে ঠিক করলো
.........................................................
সাকিব সকালে ঘুম থেকে উঠেই শুনতে পেলো দূরে মানুষের চেঁচামেচি শোনা যাচ্ছে। সে রফিক কে জিজ্ঞেস করলোঃ" রফিক পাহাড়ের কাছে এতো চেঁচামেচি কিসের?"
রফিক বললোঃ" আরে। শুনলাম কাল রাতে একটি মেয়ে পাহাড় থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।"
কথাটা শোনার পর সাকিবের কেমন যেনো লাগছিলো। সে দৌড়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলো।
পাহাড়ের কাছে গিয়ে দেখলো মানুষের ভীড়।
সে ভীড় ঠেলে গিয়ে দেখলো, কাল যে মেয়েটি পাহাড় থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে আর কেউ না। সে হলো তার প্রিয়তমা।
তার প্রিয়তমাকে এ অবস্থায় দেখার পর সাকিব কিছুক্ষন স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।
এরপর অনেক চিকিৎসা করেও সাকিবকে আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আনা গেলো না।
সাকিব ও নীলার ভালোবাসার স্মরণে এ পাহাড়টির নাম রাখা হলো "লাভার পয়েন্ট"।
এখনো প্রতিদিন দেখা যায় একজন বড় বড় চুল ও দাড়ি ওয়ালা লোক সে পাহাড়টির উপর বসে বাঁশি বাজার। সে লোকটি হলো সাকিব।
এখনো পাহাড় থেকে ভেসে আসে এক করুন বাঁশির সুর।
লেখকঃ জোহেব।
সাকিবঃ "কেনো কোথায় যাচ্ছি?"
রফিকঃ" তুমি ভুলে গেলে আমরা তো আজ বান্দর বান যাচ্ছি।"
সাকিবঃ" হুম। বাবা-মা কি রেডি হয়েছে?"
রফিকঃ" হুম। ওনারা রেডি। মাল পত্র সব গোছানো শেষ। তুমি ও রেডি হয়ে নাও।"
সাকিবঃ"ঠিক আছে তুমি যাও। আমি আসছি।"
সাকিব তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিলো। নিচে নেমে দেখলো সব গোছানো শেষ।
সাকিব রফিককে জিজ্ঞেস করলোঃ" আমরা কয়টায় রওনা দিবো?"
রফিক বললোঃ"এইতো ১০টার দিকে।"
সাকিব অপেক্ষা করতে লাগলো। বন্ধুদের কাছে শুনেছে। বান্দর বান খুব সুন্দর যায়গা। তবে কোন দিন যাওয়া হয় নি। সে আজ খুব খুশি। কারন, তার বাবা বান্দর বান জেলায় বদলি হওয়ার কারনে সে এমন একটি যায়গায় থাকার সুযোগ পাচ্ছে।
একটু পর সাকিবের বাবা সাকিবকে গাড়িতে উঠার জন্য বললেন। সাকিব গাড়িতে বসে মোবাইলে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে লাগলো। শুনতে শুনতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লো মনে নেই।
যখন ঘুম ভাঙ্গলো তখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। সে রফিককে জিজ্ঞেস করলোঃ"রফিক, আমরা এখন কোথায় আছি?"
রফিকঃ" আমরা তো এখন বান্দর বানে।"
রফিকের কথা শুনে তাড়াতাড়ি গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে দেখলো সাকিব। এতো সুন্দর যায়গা সে এর আগে কোথাও দেখে নি।
সাকিব বললোঃ" আচ্ছা, রফিক আমরা এখন কোন যায়গায় যাচ্ছি?"
রফিকঃ" নীল গিরির কাছে একটা সরকারি বাংলো আছে। আমরা সেখানে যাচ্ছি।"
সাকিব গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে। এমন সময় রফিক বললোঃ"সাকিব ভাই নামুন। আমরা চলে এসেছি।"
রাতের খাবার শেষে সাকিব বললোঃ" ভালো লাগছে না। আচ্ছা, রফিক এখানে আসে পাশে কোন সুন্দর পাহাড় আছে।"
রফিকঃ" হ্যা। আছে তো।"
সাকিবঃ" ঘরে বসে থাকতে ভালো লাগছে না। চলো পাহাড়টা ঘুরে আসি।"
রফিকঃ"এতো রাতে?"
সাকিবঃ" এতো রাতে কোথায় ? সবে তো মাত্র ৮.৩০ বাজে।"
রফিকঃ"ঠিক আছে। চলো।"
রফিক টর্চ লাইট নিয়ে সাকিবের পেছন পেছন এলো।
সাকিব বললোঃ"রফিক টর্চের কি দরকার ছিলো? আজ তো জোছনা সব তো পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে।"
রফিকঃ"তা তো দেখছিই। তবু ও রাতে চলতে গেলে সাথে টর্চ রাখা প্রয়োজন।"
সাকিবঃ" তা তুমি ঠিক বলেছো।"
রফিকঃ" আচ্ছা সাকিব ভাই আজ কি তুমি বাঁশি বাজাবে।"
সাকিবঃ"হ্যা। এই জন্যই তো সাথে করে বাঁশিটা আনলাম।"
কথা বলতে বলতে তারা পাহাড়ের উপর উঠলো। জোছনার আলোয় সব পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। রফিক এক পাশে বসে সিগারেট ধরাচ্ছে। অন্যদিকে, সাকিব আপন মনে বাঁশি বাজাচ্ছে। এতো রাতে এই পাহাড়ের কাছে কোন মানুষ থাকে না।
সাকিবের বাঁশির আওয়াজ এক প্রকার প্রতিধ্বনি সৃষ্টি করছে।
এভাবে সে প্রতিদিন ই বাঁশি বাজায়। একেক দিন বাঁশির সুর একেক রকম শোনা যায়।
অন্যদিকে, তার বাঁশির সুরে ও যে কারো মন টানে এটা সাকিব জানতো না।
নীলাদের বাড়ি থেকে সাকিব যে পাহাড়টিতে বসে বাঁশি বাজাতো সে পাহাড়টি স্পষ্ট দেখা যায়।
সে পাহাড়টি থেকেই প্রতিরাতে ভেসে আসে বাঁশির সুর। নীলা মাঝে মাঝে ভাবে এতো সুন্দর করে কেউ কিভাবে বাঁশি বাজায়?
প্রতিদিন এ বাঁশির শব্দ শোনার জন্য নীলার মন আনচান করে।
সে তার জানালার পাশের টেবিলে বসে অপেক্ষা করে সেই বাঁশির সুর সোনার জন্য।
একদিন সে ভাবলো যে, কে এতো সুন্দর করে বাঁশি বাজায়। তাকে একবার দেখতে হবে। তাই, এক জোছনা রাতে যখন সাকিব বাঁশি বাজাচ্ছিলো তখন নীলা সেই পাহাড়ের কাছে গেলো। সে যতই কাছে যাচ্ছে বাঁশির সুর ততই স্পষ্ট সোনা যাচ্ছে।
সে সাকিবের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলোঃ" কে আপনি?"
সাকিব হঠাৎ কথা শুনে চমকে উঠলো। সে পেছনে ফিরে দেখলো একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নিজেকে সামলে নিয়ে বললোঃ" আমি সাকিব। সামনের বাংলোতে থাকি। এখানে নতুন এসেছি।"
নীলাঃ" আপনি কি প্রতিদিনই এখানে বাঁশি বাজান?"
সাকিবঃ" হ্যা।"
নীলাঃ" আপনি আসলেই খুব সুন্দর বাঁশি বাজান।"
সাকিবঃ" ধন্যবাদ।"
নীলাঃ" আমি কি আপনার বন্ধু হতে পারি?"
সাকিবঃ" অবশ্যই।"
এভাবেই সাকিব ও নীলার বন্ধুত্ব শুরু হয়। মাঝে মাঝে সাকিব এ পাহাড়ে বসে বাঁশি বাজায়। আর নীলা তার পাশে বসে মুগ্ধ হয়ে সেই বাঁশির আওয়াজ শুনে। সময় যে কিভাবে পার হয়ে যেতো তা তারা দু'জনেই বুঝতে পারতো না।
ধীরে ধীরে সাকিব ও নীলা দু'জনের মাঝেই এক ধরনের ভালোলাগা কাজ করতে লাগলো।
তাদের এ ভালোলাগা একদিন ভালোবাসায় পরিণত হলো।
এক বিকেলে সাকিব দেখলো তার মোবাইলে নীলা ফোন দিয়েছে। ফোন ধরার পর নীলা বললোঃ" সাকিব, তুমি কি একটু পাহাড়ে আসতে পারবে?"
সাকিবঃ" হ্যা পারবো। কিন্তু কেনো?"
নীলাঃ" তোমার সাথে কিছু জরুরী কথা আছে।"
সাকিবঃ" কি কথা?"
নীলাঃ" আগে তুমি আসো। তারপর বলছি।"
সাকিব সে পাহাড়ে গেলো। গিয়ে দেখলো নীলা দাঁড়িয়ে আছে। নীলার সামনে যেতেই সাকিব দেখলো নীলার চোখে পানি।
সাকিবঃ" কি হয়েছে তোমার?"
নীলাঃ" বাবা-মা আমার জন্য পাত্র দেখছে।"
সাকিবঃ" তুমি কি তোমার পরিবারের কাছে আমাদের সম্পর্কের কথা জানিয়েছো?"
নীলাঃ" না।"
সাকিবঃ" ঠিক আছে আজকে জানিয়ো।"
নীলাঃ" ঠিক আছে।"
সাকিব ও নীলা দু'জনেই তাদের পরিবারের কাছে জানিয়েছে। তবে তাদের কারো পরিবারই রাজি হয় নি। কারন, সাকিব মুসলমান আর নীলা হিন্দু।
নীলার বাবা-মা তাড়াতাড়ি অন্য যায়গায় নীলার বিয়ে ঠিক করলো
.........................................................
সাকিব সকালে ঘুম থেকে উঠেই শুনতে পেলো দূরে মানুষের চেঁচামেচি শোনা যাচ্ছে। সে রফিক কে জিজ্ঞেস করলোঃ" রফিক পাহাড়ের কাছে এতো চেঁচামেচি কিসের?"
রফিক বললোঃ" আরে। শুনলাম কাল রাতে একটি মেয়ে পাহাড় থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।"
কথাটা শোনার পর সাকিবের কেমন যেনো লাগছিলো। সে দৌড়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলো।
পাহাড়ের কাছে গিয়ে দেখলো মানুষের ভীড়।
সে ভীড় ঠেলে গিয়ে দেখলো, কাল যে মেয়েটি পাহাড় থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে আর কেউ না। সে হলো তার প্রিয়তমা।
তার প্রিয়তমাকে এ অবস্থায় দেখার পর সাকিব কিছুক্ষন স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।
এরপর অনেক চিকিৎসা করেও সাকিবকে আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আনা গেলো না।
সাকিব ও নীলার ভালোবাসার স্মরণে এ পাহাড়টির নাম রাখা হলো "লাভার পয়েন্ট"।
এখনো প্রতিদিন দেখা যায় একজন বড় বড় চুল ও দাড়ি ওয়ালা লোক সে পাহাড়টির উপর বসে বাঁশি বাজার। সে লোকটি হলো সাকিব।
এখনো পাহাড় থেকে ভেসে আসে এক করুন বাঁশির সুর।
লেখকঃ জোহেব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন