অবহেলা
(২য় পর্ব)
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------
পরের দিন মিলি কলেজে গেলো। শহীদ মিনারের পাশের গাছটার
নিচে অভ্র বসে আছে। কি যেন ভাবছে। হয় তো নতুন কোন কবিতা তৈরির চেষ্টা করছে। এমন
সময় কাউকে বিরক্ত করা ঠিক নয়। এসব ভেবে মিলি আর অভ্রকে বিরক্ত ক্তলো না।
একটু পর কি যেন মনে করে সে আবার শহীদ মিনারের কাছে গেলো।
অভ্র এখনো বসে আছে। কি যেন ভাবছে। মিলি তার দিকে এগিয়ে
গেলো।
একটু সামনে গিয়ে বললঃ “কেমন আছেন?”
অভ্রঃ “ভালো।”
মিলিঃ “আমি কি একটু বসতে পারি?”
অভ্রঃ“বসুন।”
মিলিঃ“আপনি কালকে ডায়েরীটা ছাদে ফেলে গিয়েছিলেন। সেটা
দিতে এলাম।”
আভ্রঃ“ধন্যবাদ।”
মিলিঃ“আপনি তো খুব সুন্দর কবিতা লিখেন।”
অভ্র কিছু বললো না। অভ্রর মতে নির্বোধরাই বেশি কথা বলে।
এ মেয়েটিকে ও নির্বোধদের কাতারেই ফেলা যায়।
মিলিঃ“বাই দা ওয়ে! আমি মিলি। আমি কি আপনার বন্ধু হতে
পারি”।
অভ্রঃ“অবশ্যই পারেন।”
মিলিঃ“আপনি এতো সুন্দর কবিতা লিখেন আগে জানতাম না”।
অভ্রঃ“আমাকে আপনি না বলে তুমি করে বললে খুশি হবো। ঠিক
আছে এখন যাই”।
মিলিঃ“ঠিক আছে। তুমি করেই বলবো। তবে এখন কোথায় যাচ্ছো?
ক্লাস করবে না”।
অভ্রঃ“ক্লাস করতে ভালো লাগছে না।”
অভ্র চলে গেলো। মিলি ও কিছুক্ষন গাছ তলায় বসে থেকে
ক্লাসে চলে গেলো।
ক্লাসে মিলির বন্ধুরা আড্ডা দিচ্ছে। মিলিকে দেখে একজন
বললোঃ “কিরে। ওইখানে বসে কি করছিলি? ওই ক্ষ্যাতটার সাথে কথা বলছিলি?”
মিলি রেগে গিয়ে বললোঃ“ কিসের ক্ষ্যাত? ক্ষ্যাত মানে তো
জমি। মানুষ আবার ক্ষ্যাত হয় নাকি?”
তাদের মাঝে আরেক জন বলে উঠলোঃ“আরে হয় হয়। দেখিস না অভ্র
কেমন ক্ষ্যাতের মতো চলে।”
মিলিঃ“অভ্র ক্ষ্যাত নয়। সে একজন সাদা মনের মানুষ। তার
মনে কোন হিংসা নেই, রাগ নেই, অহংকার নেই। একজন অন্য রকম মানুষ। তোদের সবার থেকে
আলাদা। অন্তত তোদের মতো কোন কুটিলতা তার মাঝে নেই। আর নিজেদের মানুষিকতাটা একটু
চেঞ্জ কর। পোশাক দিয়ে কখনো একজন মানুষকে বিচার করা যায় না।”
-“কিরে মিলি রেগে গেলি মনে হয়?”
-“না রাগিনি।”
To be continued...........
[বিঃদ্রঃ উপন্যাসের পরের অংশটি কাল এই ব্লগে প্রকাশিত হবে]
[বিঃদ্রঃ উপন্যাসের পরের অংশটি কাল এই ব্লগে প্রকাশিত হবে]
লেখকঃ জোহেব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন