অবহেলা (৫ম পর্ব)
৬ মাস পর...
এই ৬ মাসে অভ্র ও মিলি খুব ভালো বন্ধ্য হয়ে গিয়েছে। এখন
বেশির বাগ সময়ই তাদের দুজনকে এক সাথে দেখা যায়। বিশেষ করে বিকেলে, যখন অভ্র লেকের
পাড়ে বসে কবিতা লিখে, মিলি তখন তার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। তার কবিতা
লেখা দেখে মুগ্ধ চোখে।
কখনো বা কোন বৃষ্টি দিনে অভ্রকে দেখা যায় কদম ফুল হাতে
মিলির জন্য অপেক্ষা করতে। মিলির কদম ফুল খুব প্রিয়। এ ফুল খোপার দিলে তাকে অপ্সরীর
মত লাগে।
মিলির মতে অভ্র এক জন অসাধারণ মানুষ। যদিও অভ্র একজন অতি
সাধারণ ছেলে। অতি সাধারণরা ও অসাধারণ হয়। তারা তাদের অতি সাধারণের দিক দিয়েই
অসাধারণ।
মিলি যতক্ষন অভ্রর সাথে থাকে ততক্ষণ তার মাঝে এক অন্য
রকম অনুভুতি কাজ করে। এ অনুভুতিটার মানে তার জানা নেই।
সে মাঝে মাঝে ভাবে, এ রকম অনুভব হওয়ার কারন কী? এর নামই
কি ভালোবাসা?
সে উত্তর খুঁজে পায় না। হয় তো এর নামই ভালোবাসা।
পরে মিলি নিজের কাছেই তার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যায়। এর
নামই ভালোবাসা। তবে অভ্র কি তাকে ভালোবাসে?
মিলি ভাবতে থাকে...
অভ্র তো একজন কবি। কবিরা তো আকাশের কান্না শুনে, বৃক্ষের
সাথে কথা বলে, পাখিদের গান শোনে। প্রকৃতি তাদেরকে সে প্রখর অনুভব শক্তি দান করেছে।
তা হলে সে কেনো মিলির ভালোবাসাটা অনুভব করতে পারছে না?-
মিলি বসে বসে এসব ভাবে।
ঘড়ির কাটায় তখন রাত ১২.৩০। মিলি বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে।
বাইরে কি সুন্দর জোছনা। চার দিকে সব স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
মিলি এক বার ভাবে অভ্রকে ফোন দিবে। তবে, মোবাইলটা হাতে নেয়ার
পরও ফোন দেয় না।
এতো সুন্দর জোছনা রাত। অভ্র নিশ্চয়ই এখন কবিতা লেখা নিয়ে
ব্যাস্ত। কারন, এতো সুন্দর জোছনা খুব কমই দেখা যায়। এখন অভ্রকে বিরক্ত করাটা ঠিক
হবে না।
মিলি দাঁড়িয়ে থাকে বারান্দায়। জোছনা ধরার চেষ্টা করে।
তবে সে চেষ্টা বিফল হয়।
To be continued..................
[বিঃদ্রঃ উপন্যাসের পরের অংশটি কাল এই ব্লগে প্রকাশিত হবে]
লেখকঃ জোহেব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন