অবহেলা (প্রথম পর্ব)
------------------------------------------------------------
সকাল বেলা অভ্রর ঘুম ভাঙলো দরজার শব্দে। কে যেন দরজা ধাক্কাচ্ছে। অভ্রর আবার গাঢ় ঘুম। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে যে কোন মানুষেরই বিরক্ত হওয়ার কথা।অভ্রর মুখেও বিরক্তির ভাব ফুটে উঠেছে।
অভ্র জিজ্ঞেস করলোঃ “কে?”
দরজার ওপাশ থেকে উত্তর এলোঃ “আমি”।
অভ্রঃ “মা এতো সকাল সকাল ডাকছো কেনো?”
মাঃ “ এতো সকাল কোথায়? ৯.০০টা বাজে। কলেজে যাবি না?”
অভ্রঃ “হুম যাবো”।
মাঃ “তাড়াতাড়ি উঠে মুখ ধুয়ে টেবিলে আয় নাস্তা টেবিলে দেয়া আছে”।
অভ্রঃ “ঠিক আছে আসছি”।
মুখে বিরক্তির ভাব নিয়ে অভ্র বিছানা থেকে নামলো। সকাল বেলা এতো নিয়ম মেনে চলতে তার ভালো লাগে না। সকাল বেলার একটি আলাদা বৈশিষ্ট আছে।
এ সময় মানুষ থাকবে তার নিজের মতো, অন্যের নিয়মে নয়।
মুখ ধুয়ে নাস্তা করে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হলো অভ্র। বাইরে প্রচুর রোদ। গ্রীষ্মের কাঠ পোড়া রোদ। এ রোদে সাধারণত রাস্তার পিচ গলে যায়। তবে এখন আর গলে না।
এ রোদে মানুষ ছায়া খোঁজে। তবে অভ্রর ক্ষেত্রে তা দেখা যায় না।
সে অতি আনন্দের সাথেই রোদ উপভোগ করছে।
অভ্র একজন কবি। তার মতেঃ “প্রকৃতির প্রতিটি বস্তুর মাঝেই আনন্দ রয়েছে। তবে সে আনন্দ খুব কম মানুষই উপভোগ করতে পারে”।
কলেজের সামনে এসে তার মনটা খারাপ হয়ে গেলো।
অভ্র একজন অতি সাধারণ ছেলে। দশ জন সাধারণের চেয়েও সাধারণ। যাকে অতি সাধারণ বলা যায়।
সে সাধারণত একা থাকতেই পছন্দ করে। সব সময় চুপচাপ থাকে, কবিতা লিখে, বসে বসে কি যেন ভাবে।
দূর্ভাগ্যের বিষয় হলো, কলেজে তার তেমন ভালো কোন বন্ধু নেই।
সে একজন অতি সাধারণ মানুষ তাই তার সাথে কেউ মিশে না। তার মতো বাউন্ডুলের সাথে মিশবে কে?
সে কলেজে ঢুকলো। অনাগ্রহের সাথে ক্লাস শেষ করে ছাদে উঠলো। ততক্ষণে, রোদ কিছুটা কমে গিয়েছে। সাধারণত এ সময় বৃষ্টি হয় না। তবে কেন যেনো আজ আকাশটা মেঘলা দেখাচ্ছে।
কিছুক্ষন অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো অভ্র।আজ মনে হয় আকাশের মন ও খারাপ।
মাঝে মাঝে প্রকৃতি মানুষের মনের দুঃখ আঁচ করতে পারে।
ছাদে পা ঝুলিয়ে বসে অভ্র কবিতা লিখছে ডায়েরিতে।
হঠাৎ, তার মায়ের ফোন এলো। তাই, সে তাড়াতাড়ি করে যাওয়ার সময় তার ডায়েরিটা ফেলে গেলো।
এ ডায়েরিটাতেই সে কবিতা লিখে। তার মনের সকল সুখ-দুঃখ, আনন্দ বেদনাকে সে কাব্য রূপে ফুটিয়ে তোলে।
অন্যদিকে, মিলি ছাদে তার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলো।
হঠাৎ, তার এক বন্ধু বললঃ “দেখ! ওই দিকে একটা ডায়েরী পড়ে আছে”।
মিলিঃ “হুম। তাই তো। চলতো দেখি কার ডায়েরী?”
ডায়েরীটি পড়ে আছে রেলিং এর কাছে। মিলি ডায়েরীটি হাতে নিলো। খুলে দেখলো অভ্রর নাম।
এতক্ষন, সবাই ডায়েরীটার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছিলো। তবে যখনই দেখলো অভ্রর নাম তখানই তারা সবাই ভ্রু কুচকালো। শুধু মিলিই ভ্রু কুচকালো না।
সে ডায়েরীটা তার সাথে করে নিয়ে গেলো। কাল অভ্র আসলে তাকে ডায়েরীটা দিতে হবে। তবে ডায়েরীটা আর খুলে দেখা হলো না।
রাতে মিলি ডায়েরীটা খুললো। সাধারণত সে কারো ডায়েরী পড়ে না। তবে আজ কি মনে করে যেনো খুললো।
অসংখ্য কবিতা অভ্রর ডায়েরীতে। মিলি একে একে সব গুলো কবিতা পড়তে লাগলো। আবেগ মিশ্রিত করে লিখা সব কবিতা। যা সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতো।
এ কবিতা গুলো মিলির হৃদয় ছুঁয়ে গেলো।
এতো সুন্দর করে এই সরল ছেলেটা কিভাবে লিখে- মিলি ভাবতে থাকে।
কবিতা গুলোর মাধ্যমে তার মনের সরলতা ও শুভ্রতার প্রকাশ পায়।
To be continued...........
[বিঃদ্রঃ উপন্যাসের পরের অংশটি কাল এই ব্লগে প্রকাশিত হবে]
------------------------------------------------------------
সকাল বেলা অভ্রর ঘুম ভাঙলো দরজার শব্দে। কে যেন দরজা ধাক্কাচ্ছে। অভ্রর আবার গাঢ় ঘুম। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে যে কোন মানুষেরই বিরক্ত হওয়ার কথা।অভ্রর মুখেও বিরক্তির ভাব ফুটে উঠেছে।
অভ্র জিজ্ঞেস করলোঃ “কে?”
দরজার ওপাশ থেকে উত্তর এলোঃ “আমি”।
অভ্রঃ “মা এতো সকাল সকাল ডাকছো কেনো?”
মাঃ “ এতো সকাল কোথায়? ৯.০০টা বাজে। কলেজে যাবি না?”
অভ্রঃ “হুম যাবো”।
মাঃ “তাড়াতাড়ি উঠে মুখ ধুয়ে টেবিলে আয় নাস্তা টেবিলে দেয়া আছে”।
অভ্রঃ “ঠিক আছে আসছি”।
মুখে বিরক্তির ভাব নিয়ে অভ্র বিছানা থেকে নামলো। সকাল বেলা এতো নিয়ম মেনে চলতে তার ভালো লাগে না। সকাল বেলার একটি আলাদা বৈশিষ্ট আছে।
এ সময় মানুষ থাকবে তার নিজের মতো, অন্যের নিয়মে নয়।
মুখ ধুয়ে নাস্তা করে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হলো অভ্র। বাইরে প্রচুর রোদ। গ্রীষ্মের কাঠ পোড়া রোদ। এ রোদে সাধারণত রাস্তার পিচ গলে যায়। তবে এখন আর গলে না।
এ রোদে মানুষ ছায়া খোঁজে। তবে অভ্রর ক্ষেত্রে তা দেখা যায় না।
সে অতি আনন্দের সাথেই রোদ উপভোগ করছে।
অভ্র একজন কবি। তার মতেঃ “প্রকৃতির প্রতিটি বস্তুর মাঝেই আনন্দ রয়েছে। তবে সে আনন্দ খুব কম মানুষই উপভোগ করতে পারে”।
কলেজের সামনে এসে তার মনটা খারাপ হয়ে গেলো।
অভ্র একজন অতি সাধারণ ছেলে। দশ জন সাধারণের চেয়েও সাধারণ। যাকে অতি সাধারণ বলা যায়।
সে সাধারণত একা থাকতেই পছন্দ করে। সব সময় চুপচাপ থাকে, কবিতা লিখে, বসে বসে কি যেন ভাবে।
দূর্ভাগ্যের বিষয় হলো, কলেজে তার তেমন ভালো কোন বন্ধু নেই।
সে একজন অতি সাধারণ মানুষ তাই তার সাথে কেউ মিশে না। তার মতো বাউন্ডুলের সাথে মিশবে কে?
সে কলেজে ঢুকলো। অনাগ্রহের সাথে ক্লাস শেষ করে ছাদে উঠলো। ততক্ষণে, রোদ কিছুটা কমে গিয়েছে। সাধারণত এ সময় বৃষ্টি হয় না। তবে কেন যেনো আজ আকাশটা মেঘলা দেখাচ্ছে।
কিছুক্ষন অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো অভ্র।আজ মনে হয় আকাশের মন ও খারাপ।
মাঝে মাঝে প্রকৃতি মানুষের মনের দুঃখ আঁচ করতে পারে।
ছাদে পা ঝুলিয়ে বসে অভ্র কবিতা লিখছে ডায়েরিতে।
হঠাৎ, তার মায়ের ফোন এলো। তাই, সে তাড়াতাড়ি করে যাওয়ার সময় তার ডায়েরিটা ফেলে গেলো।
এ ডায়েরিটাতেই সে কবিতা লিখে। তার মনের সকল সুখ-দুঃখ, আনন্দ বেদনাকে সে কাব্য রূপে ফুটিয়ে তোলে।
অন্যদিকে, মিলি ছাদে তার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলো।
হঠাৎ, তার এক বন্ধু বললঃ “দেখ! ওই দিকে একটা ডায়েরী পড়ে আছে”।
মিলিঃ “হুম। তাই তো। চলতো দেখি কার ডায়েরী?”
ডায়েরীটি পড়ে আছে রেলিং এর কাছে। মিলি ডায়েরীটি হাতে নিলো। খুলে দেখলো অভ্রর নাম।
এতক্ষন, সবাই ডায়েরীটার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছিলো। তবে যখনই দেখলো অভ্রর নাম তখানই তারা সবাই ভ্রু কুচকালো। শুধু মিলিই ভ্রু কুচকালো না।
সে ডায়েরীটা তার সাথে করে নিয়ে গেলো। কাল অভ্র আসলে তাকে ডায়েরীটা দিতে হবে। তবে ডায়েরীটা আর খুলে দেখা হলো না।
রাতে মিলি ডায়েরীটা খুললো। সাধারণত সে কারো ডায়েরী পড়ে না। তবে আজ কি মনে করে যেনো খুললো।
অসংখ্য কবিতা অভ্রর ডায়েরীতে। মিলি একে একে সব গুলো কবিতা পড়তে লাগলো। আবেগ মিশ্রিত করে লিখা সব কবিতা। যা সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতো।
এ কবিতা গুলো মিলির হৃদয় ছুঁয়ে গেলো।
এতো সুন্দর করে এই সরল ছেলেটা কিভাবে লিখে- মিলি ভাবতে থাকে।
কবিতা গুলোর মাধ্যমে তার মনের সরলতা ও শুভ্রতার প্রকাশ পায়।
To be continued...........
[বিঃদ্রঃ উপন্যাসের পরের অংশটি কাল এই ব্লগে প্রকাশিত হবে]
লেখকঃ জোহেব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন