আজ না হয় নিজেকে নিয়েই লিখলাম
-----------------------------------------------------
চারিদিকে সন্ধ্যা নেমে এসেছে। আলোকিত পৃথিবী ধীরে ধীরে অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে। তেমনি ভাবে দুঃখের অন্ধকার জগতে হারিয়ে যাচ্ছে একটি জীবন। যা হয় তো আর কখনো আলোর মুখ দেখবে না।
জোহেব হাঁটছে লেকের পাড়ে। বুকের বাম পাশের চিন চিনে ব্যাথাটা ধীরে ধীরে তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠছে। অতিপ্রিয় মানুষের কাছ থেকে পাওয়া কষ্ট কেউ সহ্য করতে পারে না। এ কষ্টের প্রভাব এতোই তীব্র হয় যে মানুষ তখন কাঁদতে পারে না।
হাঁটতে হাঁটতে নিজের লিখা কয়েকটি কবিতা আওড়ে যায় জোহেব। যে কবিতা গুলো এক সময় প্রিয় এক জনকে উৎসর্গ করেছিলো।
আশেপাশের মানুষগুলো তার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। কেউ কেউ দেখছে উৎসুক দৃষ্টিতে। কেউ কেউ দেখছে বিস্ময়ের দৃষ্টিতে। তারা ভাবছে যে পাগল প্রলাপ বকছে।
হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পরে গেলো সে। পা খানিকটা কেটে গিয়েছে। তবে তার কোন ব্যাথা অনুভুত হচ্ছে না। তার হৃদয়ের তীব্র ব্যাথার কাছে এ ব্যাথা কিছুই নয়।
আমাদের শরীরের কোন অংশ কেঁটে গেলে রক্তক্ষরণ হয়। যা সবাই দেখতে পায়। তবে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ কেউ দেখতে পায় না।
সে উঠে দাঁড়ালো। এরপর কিছুক্ষন লেকের পানির দিকে তাকিয়ে রইলো।
আজ তার মনে হচ্ছে, পৃথিবীতে সত্যিকারের প্রেমীকের স্থান শুধু গল্পে। যেখানে আবেগ গুলো শুধু বইয়ের পাতার মাঝেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে এর কোন অস্তিত্য নেই। ভালোবাসা নামক বস্তুটাকে আজ তার কেবল একটি কুসংস্কার বলেই মনে হয়।
লেখকঃ জোহেব।
-----------------------------------------------------
চারিদিকে সন্ধ্যা নেমে এসেছে। আলোকিত পৃথিবী ধীরে ধীরে অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে। তেমনি ভাবে দুঃখের অন্ধকার জগতে হারিয়ে যাচ্ছে একটি জীবন। যা হয় তো আর কখনো আলোর মুখ দেখবে না।
জোহেব হাঁটছে লেকের পাড়ে। বুকের বাম পাশের চিন চিনে ব্যাথাটা ধীরে ধীরে তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠছে। অতিপ্রিয় মানুষের কাছ থেকে পাওয়া কষ্ট কেউ সহ্য করতে পারে না। এ কষ্টের প্রভাব এতোই তীব্র হয় যে মানুষ তখন কাঁদতে পারে না।
হাঁটতে হাঁটতে নিজের লিখা কয়েকটি কবিতা আওড়ে যায় জোহেব। যে কবিতা গুলো এক সময় প্রিয় এক জনকে উৎসর্গ করেছিলো।
আশেপাশের মানুষগুলো তার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। কেউ কেউ দেখছে উৎসুক দৃষ্টিতে। কেউ কেউ দেখছে বিস্ময়ের দৃষ্টিতে। তারা ভাবছে যে পাগল প্রলাপ বকছে।
হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পরে গেলো সে। পা খানিকটা কেটে গিয়েছে। তবে তার কোন ব্যাথা অনুভুত হচ্ছে না। তার হৃদয়ের তীব্র ব্যাথার কাছে এ ব্যাথা কিছুই নয়।
আমাদের শরীরের কোন অংশ কেঁটে গেলে রক্তক্ষরণ হয়। যা সবাই দেখতে পায়। তবে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ কেউ দেখতে পায় না।
সে উঠে দাঁড়ালো। এরপর কিছুক্ষন লেকের পানির দিকে তাকিয়ে রইলো।
আজ তার মনে হচ্ছে, পৃথিবীতে সত্যিকারের প্রেমীকের স্থান শুধু গল্পে। যেখানে আবেগ গুলো শুধু বইয়ের পাতার মাঝেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে এর কোন অস্তিত্য নেই। ভালোবাসা নামক বস্তুটাকে আজ তার কেবল একটি কুসংস্কার বলেই মনে হয়।
লেখকঃ জোহেব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন